আজ রবিবার, ১৯শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

মসজিদের বারান্দায় ইমামকে গলাকেটে হত্যা

সোনারগাঁয়ে মসজিদের ভিতরে ইমামকে গলাকেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তবে কেন হত্যা করা হয়েছে সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছুই বলতে পারেনি পুলিশ। এছাড়া এখনও পর্যন্ত কাউকে আটকও করতে পারেনি।

বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের মল্লিকপাড়া গ্রামের নারায়নদিয়া বায়তুল জালাল জামে মসজিদের বারান্দায় হুজুরের রুমে ওই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

নিহত ইমাম হলেন খুলনা রাজাপুর এলাকার আফতাব ফরাজির ছেলে দিদারুল ইসলাম (২৬)। গত ২৬ জুলাই থেকে তিনি এ মসজিদে ইমাম হিসেবে নিয়োগ পান।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের নারায়নদিয়া বায়তুল জালাল জামে মসজিদের ইমামকে বৃহস্পতিবার ভোরে দুর্বৃত্তরা সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। মসজিদের হুজুরাখানায় (থাকার স্থান) দুর্বৃত্তরা এ ঘটনাটি ঘটানোর পর সেখান থেকে দ্রুত পালিয়ে যায়।

পুলিশ খবর পেয়ে সোনারগাঁও থানার ওসি (তদন্ত) হেলাল উদ্দীনের নেতৃত্বে একটি পুলিশের দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে।

নারায়নদিয়া বায়তুল জালাল জামে মসজিদের মুসল্লিরা জানান, একই ইউনিয়নের ছোট কাজীরগাঁও গ্রামের মসজিদের ইমামের রেফারেন্সে এ মসজিদে ইমাম হিসেবে যোগদান করেছিলেন দিদারুল ইসলাম। ঈদুল আজহার পরের দিন (মঙ্গলবার) ট্রেনিংয়ের কথা বলে মসজিদ থেকে বাইরে যাওয়ার পর শুক্রবার দুপুরে এসে তিনি আবার জুমার নামাজ পড়ান। এরপর তিনি আবার ট্রেনিংয়ে চলে যান ও মঙ্গলবার বিকেলে এসে আসরের নামাজ পড়ান। তবে তিনি ঈদের কিছুদিন আগে মল্লিকপাড়া গ্রামের নারায়নদিয়া বায়তুল জালাল জামে মসজিদে ইমাম হিসেবে যোগদান করেছিলেন।

সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান জানান, সকাল ৮টায় স্থানীয়রা মসজিদের ভেতরে রক্তাক্ত লাশ দেখে জানালে পুলিশ গিয়ে গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে। ধারণা করা যাচ্ছে দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে ইমামকে হত্যা করেছে। তবে কেন হত্যা করেছে সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। বিষয়টি তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।

তিনি জানান, এখনও কাউকে আটক করা হয়নি। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।